Posts

Showing posts from October, 2020

নির্মক্ষিক

Image
 মাহাবুদ মিয়াঁ অনুনয় বিনোনয় করি তোমার কাছে  অধিষ্ঠিত করো মোরে উন্নতির সর্বসিখরে । রাস্তায় এ কেমন নির্জনতা একাকী, নি:সঙ্গ পথহারা, হাজারো সমস্যা-উপলে যেন রাস্তা বাধা। চারি দিকে ছমছম আর স্তব্ধতার ছায়া। মনের গহীনে জমাট বাঁধা কথাগুলা জানাই কাহারে, সব খুশি, হাসি , আনন্দ চাপা পড়েছে যেন সমুদ্র তোলে; হতাশা, তামাশার এক অনন্য জগৎ যেন গড়েছে। সময় তো চলে যায় স্রোতের মত দুঃখ, নিরাশা ভিড় লাগায় স্বপ্নের মত; শত চেষ্টা করেও ঢাকা পড়ে মেঘলা আকাশে। ধোঁয়াশায়, আর কুহেলিকায়  জীবন যেন থমকে গেছে। পাহাড় ময় বোঝাতে হৃদয় যেন ঠাসা ; কলম-ও পরিশ্রান্ত আজ লিখতে এ কবিতা।। Dated:19.10.2020

মৃত্যুআভা

 কি হবে রাখিয়া মৃত্যুভয়, মৃত্যু তো সবার কপালে লেখা যাহারা করে যান উত্তম কাজ, তাহারাই পান অমরত্বের দেখা। যেতেই হবে কোনো একদিন, এই সুন্দর ভুবন ছাড়ি                সাথে কেউ না, একলাএকা দিতে হবে অন্যজগতে পাড়ি। শুনেছ কি নাম মৃত্যু দূতের, দাড়িয়ে আছে হয়তো আমারই পাশে, সময় হয়তো হয়েই এলো, উড়ে যাব সাথে তার, নীল  আকাশে। আগামিকাল হয়তো থাকবনা আমি, এই পৃথিবীর মাঝখানে, করে যেতে চাই এমন কিছু কাজ, বেঁচে থাকব সবার মনে-প্রাণে।।                     By I Ali                          02.09.2020

বেলাশেষে

 দিন কেটে যায় পথের খোজে, তবুও সেই পথহারার দলে কভু যদিও পাই দিকের দেখা, দিশেহারা হই আপন ছলে। সবাই এখন নিজের মতো, রাখে না চোখ কেউ দিগন্তে আর চারিদিকে সেই ক্ষণিকের মায়া, কভূ হাহাকার কভু পাপাচার। মাঝে মাঝে মনে ভাবনা আসে, দিন হবে শেষ মোদেরও দেশে ঘনিয়ে আসবে গাঁড়ো অন্ধ্যকার, নিঝুম হবে সব, বেলাশেষে। হয়তো ফিরে আসবনা আর, বিদায় নিলে হায় যেই বা ডাকুক জগৎ হতে, দেবো না হয়তো সায়।                         By I Ali                    Dated:29.09.2020

ব্যর্থ জীবন

 জীবন টা আজ এলোমেলো সবকিছুই আজ অগোছালো, কিছু নেই এখন আকড়ে ধরার ইচ্ছে ছিলো কিছু বড়ো করার। সময় কে না বুঝে নষ্ট করেছি আর শূন্যতার হাত ধরে হেঁটেছি। সবকিছুই আজ সুন্দর হতো  পুরণ করতাম ইচ্ছে যত। শুনেছি, সবকিছুই নাকি বিধির লিখন তবে আমার জীবন টাই বা কেনো এমন? ব্যার্থ আমি আজ নিজেরই কাছে  জানি না এই কপালে আর কি আছে। সব শেষ হয়ে গেলো দেখেও আছি হয়ে চুপ লোকে জানে না, কিন্তু কষ্ট লাগে খুব। এখন, ভালোর আশা করিনা আর কষ্ট গুলো সবই তো আমার।       By J Alom     Dated:29.09.2020 (first try)

আহ্বান

Image
 ওগো আমার জন্মভূমি, মনের ব্যাথায় আকুল তুমি; তোমার নীতি লঙ্ঘিত মা, মানব শিক্ষায় ব্যার্থ তুমি। সবাই ব্যস্ত জাতি-ভেদাভেদে, আর অন্যায় মিথ্যা জয়ী; তোমার কন্যারা ধর্ষিতা মা, তাদেরই রক্তে তুমি রক্তময়ী। দৈনিক হিসেবে মোদেরই দেশে, শত শত হয় ধর্ষিত বলতে গেলেই চরিত্রহীনা, আর এই নামেই তারা বর্ণিত । অত্যচারিত হইয়া বালিকা, পায়না তো দেশে ন্যায় বিচার দেশবাসী সেথা হয়ে থাকে চুপ, এসব ভাবার কি দরকার ? ধর্ষিতা হয়ে অত্যাচারিত, থাকে যদি পড়ে হাসপাতালে সে বিষয়ে সবাই চুপচাপ, ছন্দ মেলায় আপন তালে । মৃত্যুর সাথে লড়াই করে, সে- ই যদি যায় মর্গে তখন ওঠে রব,”Justice for her”, নইলে জায়গা পাবে না স্বর্গে । ইদুরের বিপদে টাটকা বাহিনী, খবর পাওয়া যায়  জমিয়ে  এখন যখন সত্য দরকার, মিডিয়ারা সব ঘুমিয়ে । পুলিশেরা ব্যস্ত প্রমান লোপাটে, সত্যকে করে মিথ্যা আসামীরা সেথা পুরো নির্দোষ, যেন  অগ্নিপরিক্ষা দেওয়া সীতা । দু-পায়ে হাটা কতো জানোয়ার, নেই তো কারো বিশ্বাস দু মিনিটের সুখের জন্য কেড়ে নিল কতো নিশ্বাস । যাদের এতো সুখের আশা আর নগ্ন চিন্তায় ভরা মন, তাদের বলি শোনো  নিজের মা-বোনের প্রতি তো আছে সম্মান, অন্যের প্রতি নৃশংস হয়ো না যেন । ওগো আমার

The Ignorant mind

 I am not like you, you are not like me  I have the ignorant mind, always tension free. Yes it is, I have the most ignorant mind  I am the happiest person,  you do ever find.  The world treats me as fool, with an ignorant attitude  I always live within me, and don’t want to quit.  I am the careless one, without any mental pain  I have nothing to lose,  and no any desire to gain. My life is so simple, without any aim and stream  I have no any differences between my real life and my dream.  I never ever think that what will happen a moment later  But having hope, always whisper myself "tomorrow will be better". I don't know how to lie, and I have never ever need  I have my lonely life, that I have always wanted to lead. I don't believe the unseen, but only on the mother nature  She has the power to create, and I am also a creature.  We all have an end, it is eternal nature rule I like to enjoy my life being an ignorant fool. By I Ali 05.10.2020

আত্মঘাতী

Image
 ছন্দ মিলাতে পারে না অনেকে, জীবন গতিতে হায় পরাজিত হয়ে হার মেনে নিয়ে, গভীর আঁধারে  যায়। পায় না রাস্তা, পায় না পথ, খুজে খুজে তারা পায় না হয়তো বা তারা করে না চেষ্টা, হয়তো খুজতে চায় না। কাউকে তারা ভরসা করে না, আর নিজেকে করে না বিশ্বাস একটা রশি কেই সম্বল করে, ত্যাগ করে তারা নিশ্বাস।। জীবন দিয়ে কী পায় তারা, তাদের কী বা হয় লাভ মরার পরে হয় দুর্নাম, আত্মহত্যা তো অভিশাপ। সত্যি নিজেই ব্যার্থ তারা, অনেক বোকা আমার মতে ধরে না তারা একটু ধৈর্য্য, চায়না শিখতে কষ্ট হতে। হয়ে থাকে তারা কুয়োরই ব্যঙ, দেখতো যদি জগৎটাকে একটু যদি থাকত বিশ্বাস, আশা রাখত মনের ফাঁকে।। তাদের থেকে কতই দুঃখী, কতই আরো বেদনাহত  মেনে নিয়েছে বাস্তবতা, মেনে নিয়েছে কষ্ট যত। জীবনের মূল্য তারাই বোঝে, যারা বাঁচার লড়াই করে বাস্তবতা বড়ই কঠিন, কিন্তু মুক্ত তারা মনের ঘরে। জীবন যুদ্ধে তারাই জয়ী, যারা নিজেকে টিকিয়ে রাখে সত্যের সাথে মানিয়ে নিয়ে, চলার পথে অটল থাকে।। By I Ali 08.10.2020 

আমি

 আমি একজন পথের ভীতু, সাহস রাখিনা মনে সমস্যা হতে পালিয়ে বেড়াই, কষ্ট চাইনা জীবনে । সবার থেকে পালিয়ে বেড়াই, আর একার রাস্তায় যাই সুপ্ত বিবেক নিয়ে মনে হয়, কভু মায়ের কোলেতে লুকাই । পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্বার্থপর আমি, নিজেকেই করেছি উপেক্ষা  শাস্তির জন্য প্রস্তুত আমি, কিসের তবে আর অপেক্ষা । এই ছোটো জীবনের মাঝে কতো আর বলব মিথ্যে কথা জীবন ভরা মোর মিথ্যাচারে, আর আত্মগ্লানির ব্যাথা । কতই উড়েছিল বড়ো বড়ো জন, সবাই গিয়াছে পড়ি আমিই বা আর কোন মহাশয়, তটে এসে তাই ডুবল তরী । By I Ali 12.10.2020

স্মৃতিসঙ্গ

Image
    স্টেশনের মাইক গুলোতে হটাৎ একটি মহিলার গলায় উচ্চস্বরে শোনা গেলো “ রাধিকাপুর এক্সপ্রেস সাড়ে সাতটায় তিন নম্বর প্লাটফর্ম থেকে রওনা হবে”। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ইয়াসিন দেখল সাতটা পনেরো বাজে। কলকাতা চিৎপুর রেলস্টেশন এর তিন নম্বর প্লাটফর্ম-এ বসে আছে সে গোফ্ফর-এর অপেক্ষায়। দুইজনই কলকাতায় নতুন এসেছে উচ্চশ্রেণীতে পড়াশোনার জন্য আর এইবারই প্রথম ছুটি পেয়েছে বাড়ি যাওয়ার জন্য, ঈদের ছুটি। তাই ট্রেনেও বিশাল ভিড়, তাই তারা ঠিক করেছে সাড়ে আটটার ট্রেন জগবানী এক্সপ্রেস এ যাবে। কলেজ থেকে ফিরে ইয়াসিন তাই তাড়াতাড়ি করে চলে এসেছে স্টেশনে।     কিছুক্ষণ ধরেই ইয়াসিন ট্রেনের জানলার দিকে তাকিয়ে আছে একদৃষ্টিতে। জানলার ধারে একটা মেয়ে বসে আছে মাথায় কাপড় দিয়ে ইয়াসিন এর দিকে পিছু ফিরে। ইয়াসিন যদিও তার মুখ দেখতে পাচ্ছিল না, তাও সে তার দিকেই তাকিয়ে আছে। হটাৎ ট্রেনের দরজা থেকে “ইয়াসিন” ডাক শুনে তার চমক ভাঙে, “আরে এ তো মারিয়াম এর আব্বু”। ইয়াসিন বেঞ্চ থেকে উঠে দরজার কাছে গিয়ে ভালো-মন্দ জিজ্ঞাসার পর জানতে পারল যে তিনি মারিয়াম কে নিয়ে যেতে এসেছেন, “ও হ্যাঁ মারিয়ামও তো কলকাতায় মেডিক্যাল এর এন্ট্রান্স এর জন্য প্রশিক্ষন নিচ্ছে”। তিনি